স্বাস্থ‍্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মিলছে না পরিষেবা : রাস্তায় বসে অবরোধ রোগীর পরিবারের

21st August 2021 3:58 pm বর্ধমান
স্বাস্থ‍্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মিলছে না পরিষেবা : রাস্তায় বসে অবরোধ রোগীর পরিবারের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না,উল্টে রুগী আটকে রাখার অভিযোগহাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।নজিরবিহীন ভাবে ,দুর্গাপুরেবেসরকারী হাসপাতালের সামনে রাস্তায় বসে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ রুগীর পরিবার পরিজনদের।পুলিশ এসে কোনোক্রমে সামাল দিল পরিস্থিতি। এদের কেউ বীরভূম থেকে এসেছেন,কেউ মুর্শিদাবাদ।অভিযোগ,সাস্থ্য সাথী কার্ডে হাসপাতালে ভর্তি করার পর মিলছে না চিকিৎসা পরিষেবা,উল্টে কিছু রুগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও তাদেরকে ছাড়া হচ্ছে না,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকা দাবী করছেন।এমনও হয়েছে রুগীর অস্ত্রপচারের কথা থাকলেও সাস্থ্য সাথী কার্ডের রুগী দেখে মেশিন খারাপ বলে দেওয়া হচ্ছে।এমন বেশ কিছু অভিযোগে শনিবার দুপুরে কাঁকসার বামুনাড়ার কাছে একটি বেসরকারী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় বসে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় ভর্তি থাকা রুগীর আত্মীয়রা।অভিযোগ ছিল,যদি টাকাই দিতে হয় তাহলে সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়ার কি প্রয়োজন ছিল,এইভাবে হেনস্থা কেন করা হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে মুচিপাড়া শিবপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রুগীর আত্মীয় পরিজনরা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ,কথা বলেন রুগীর আত্মীয়দের সাথে।পুলিশের আশ্বাস পাওয়ার পর প্রায় পঁচিশ মিনিট পর তুলে নেওয়া হয় অবরোধ।রুগীর পরিবার পরিজনদের অভিযোগ,একেই টাকা নেই তার মধ্যে সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে অহেতুক হয়রানি শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,এমনকি টাকা না পেলে রুগীকে আটকে রাখার মতো অমানবিক কাজও করছে কর্তৃপক্ষ।এখানেই শেষ নয় এক রুগীর পরিবারের অভিযোগ,স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও ব্রেনের  অস্ত্রপ্রচারের সময় বলে দেওয়া হচ্ছে মেশিন খারাপ,এটা চিকিৎসা না করার বাহানা যেহুতুএই স্বাস্থ্য  সাথী কার্ডে তারা রুগীর পরিবারের কাছ থেকে নগদ টাকা পাবেনা।এইদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,সাস্থ্য সাথী কার্ডের এপ্রুভাল না পেলে তারা রুগী ছাড়তে পারেননি আর মেশিন খারাপ থাকায় অস্ত্রোপচারর করা যায়নি,আর এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রুগীর আত্মীয়রা।এইদিকে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কাঁকসার বামুনাড়ার বেসরকারী হাসপাতাল চত্বরে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।