নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না,উল্টে রুগী আটকে রাখার অভিযোগহাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।নজিরবিহীন ভাবে ,দুর্গাপুরেবেসরকারী হাসপাতালের সামনে রাস্তায় বসে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ রুগীর পরিবার পরিজনদের।পুলিশ এসে কোনোক্রমে সামাল দিল পরিস্থিতি। এদের কেউ বীরভূম থেকে এসেছেন,কেউ মুর্শিদাবাদ।অভিযোগ,সাস্থ্য সাথী কার্ডে হাসপাতালে ভর্তি করার পর মিলছে না চিকিৎসা পরিষেবা,উল্টে কিছু রুগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও তাদেরকে ছাড়া হচ্ছে না,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকা দাবী করছেন।এমনও হয়েছে রুগীর অস্ত্রপচারের কথা থাকলেও সাস্থ্য সাথী কার্ডের রুগী দেখে মেশিন খারাপ বলে দেওয়া হচ্ছে।এমন বেশ কিছু অভিযোগে শনিবার দুপুরে কাঁকসার বামুনাড়ার কাছে একটি বেসরকারী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় বসে পড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় ভর্তি থাকা রুগীর আত্মীয়রা।অভিযোগ ছিল,যদি টাকাই দিতে হয় তাহলে সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়ার কি প্রয়োজন ছিল,এইভাবে হেনস্থা কেন করা হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে মুচিপাড়া শিবপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রুগীর আত্মীয় পরিজনরা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ,কথা বলেন রুগীর আত্মীয়দের সাথে।পুলিশের আশ্বাস পাওয়ার পর প্রায় পঁচিশ মিনিট পর তুলে নেওয়া হয় অবরোধ।রুগীর পরিবার পরিজনদের অভিযোগ,একেই টাকা নেই তার মধ্যে সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে অহেতুক হয়রানি শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,এমনকি টাকা না পেলে রুগীকে আটকে রাখার মতো অমানবিক কাজও করছে কর্তৃপক্ষ।এখানেই শেষ নয় এক রুগীর পরিবারের অভিযোগ,স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও ব্রেনের অস্ত্রপ্রচারের সময় বলে দেওয়া হচ্ছে মেশিন খারাপ,এটা চিকিৎসা না করার বাহানা যেহুতুএই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে তারা রুগীর পরিবারের কাছ থেকে নগদ টাকা পাবেনা।এইদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,সাস্থ্য সাথী কার্ডের এপ্রুভাল না পেলে তারা রুগী ছাড়তে পারেননি আর মেশিন খারাপ থাকায় অস্ত্রোপচারর করা যায়নি,আর এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রুগীর আত্মীয়রা।এইদিকে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কাঁকসার বামুনাড়ার বেসরকারী হাসপাতাল চত্বরে।